অধ্যাদেশ (Ordinance) জারি করার পরিকল্পনা
একটি খসড়া অধ্যাদেশ তৈরির কথা রয়েছে, যার নাম হচ্ছে “Interim Government Ordinance, 2024”।
এই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সব কাজ “বৈধ” হবে এবং তাদের কর্মকাণ্ড আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।
আরও আছে যে, যদি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে এই সরকার, অধ্যাদেশে তার ভিত্তি রাখা হচ্ছে।
এছাড়া, খসড়া অধ্যাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ "অনির্দিষ্ট" করা হয়েছে — অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তারা থাকতে পারে।
3. চ্যালেঞ্জ ও কঠোর সীমাবদ্ধতা
যদিও তারা নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, কিন্তু তাদের আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা (যেমন স্থায়ী আইন গঠন করা, বাজেট স্থির করা) যতটা সাধারণ নির্বাচিত সরকার করে, সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে কারণ এটি একটি “ইন্টারিম” সরকার। ঐতিহাসিকভাবে, তত্ত্বাবধায়ক (caretaker) সরকার সাধারণত চরম নীতিগত সিদ্ধান্ত না নিয়ে নির্বাচন প্রস্তুতির দিকে বেশি মনোনিবেশ করত।
তবে, খসড়া অধ্যাদেশ বলেছে যে তাদের কার্যক্রম আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।
---
সারাংশ — তারা কি করতে পারে “বর্তমানে”:
নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশ জারি করা: হ্যাঁ, তারা ইতিমধ্যেই এমন একটি অধ্যাদেশ খসড়া করছে যেমন “ইন্টারিম গভর্নমেন্ট অর্ডিন্যান্স” যা তাদের ক্ষমতা বিধিবদ্ধ করতে চায়।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা: এই অধ্যাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
কোনো প্রশাসনিক বা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে যেমন প্রশাসনিক নিয়োগ, নীতিমালা পরিবর্তন ইত্যাদি, যতক্ষণ এটি অধ্যাদেশ বা আদেশের মাধ্যমে হয়েছে।
আইনগত চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে চলা: খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, তাদের কার্যকলাপ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না — কম-করা চেক এবং ব্যালান্স থাকতে পারে।
00:01

Post a Comment