ফেব্রুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে সেনা শাসনের সম্ভাবনা

 

ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে দেশে অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ার এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসতে পারে, যা দেশের স্বাভাবিক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক শৃঙ্খলাকে ব্যাহত করতে পারে।
​প্রেক্ষাপট এবং সম্ভাবনা
​বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংকট এবং নির্বাচিত সরকারের দুর্বলতা থেকে বারবার অসাংবিধানিক শাসন, যেমন সামরিক শাসন, আসার দৃষ্টান্ত রয়েছে। অতীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নেতৃত্বের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে সামরিক বাহিনী ক্ষমতার দৃশ্যপটে চলে এসেছে।
​রাজনৈতিক শূন্যতা: যদি কোনো কারণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হয়, তাহলে দেশে একটি রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হবে। এর ফলে সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে, যা দেশকে একটি অচলাবস্থার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সাংবিধানিক সমাধান খুঁজে না পেলে অসাংবিধানিক শক্তির উত্থান ঘটে।
​জনগণের অসন্তোষ: নির্বাচন না হলে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বাড়বে। এটি বড় ধরনের আন্দোলন ও বিক্ষোভের জন্ম দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসন যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তাহলে সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
​ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের ইতিহাসে সামরিক শাসনের বেশ কিছু উদাহরণ আছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং প্রায় দুই দশক ধরে বিভিন্ন সামরিক শাসক দেশ পরিচালনা করে। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক শাসনের অবসান হলেও, গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল থাকার কারণে এটি মাঝে মাঝে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
​বর্তমান পরিস্থিতি
​বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করছে। সেনাবাহিনীও জানিয়েছে যে তারা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবে। যদি সরকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে না পারে, তাহলে রাজনৈতিক চাপ এবং অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি একটি সেনাশাসনের দিকে পরিচালিত করবে কিনা তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা, জনগণের প্রতিক্রিয়া এবং সামরিক বাহিনীর নিজস্ব অবস্থানের উপর।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post