চাকসু নির্বাচনে সাদিক কায়েমের ভাই আবু আয়াজ এর ফলাফল

 

চাকসু নির্বাচনে সাদিক কায়েমের ভাই আবু আয়াজ বিজয়ী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন ঢাবির সাবেক ভিপি ও আলোচিত ছাত্রনেতা সাদিক কায়েমের ছোট ভাই আবু আয়াজ।

২ মিনিটে পড়ুন

আবু আয়াজ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি একইসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি হলটির আবাসিক শিক্ষার্থী।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভিপি সাদিক কায়েমের পরিবার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামে বসবাস করছেন। তবে তাদের পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। আয়াজের বাবা একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন এবং প্রায় ৪০ বছর আগে ব্যবসায়িক কারণে স্থায়ীভাবে খাগড়াছড়িতে বসবাস শুরু করেন। আবু আয়াজ সাদিক কায়েমের একমাত্র ছোট ভাই। তাঁদের পরিবারে আরও তিন বোন রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদে ছাত্রশিবিরের জয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে বিশাল জয় পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদেও জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবিরের প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব, যার প্রাপ্ত ভোট ৮ হাজার ৩১। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৪ ভোট।

এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৭২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮৪ ভোট।

আরও পড়ুনঃ  ব্যারিকেড সরলেও রয়েছে পুলিশ, কাকরাইল ফিরেছে পুরোনো রূপে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চাকসু, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে ১৩টি প্যানেলের মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৩২টি পদে।

আরও পড়ুন: চাকসুর ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন, আর ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থী ছিলেন ৪৭ জন।

ভোটারদের ভোট দিতে হয়েছে সর্বমোট ৪০টি পদের জন্য। যার মধ্যে ২৬টি কেন্দ্রীয় এবং ১৪টি হল সংসদের পদ।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনার সঙ্গে ৫ জন উপদেষ্টা হাত মিলিয়েছে : রাশেদ খান
ভোটগ্রহণ হয়েছে ব্যালট পেপারে, এবং গণনা করা হয়েছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে, আর হল সংসদের ফলাফল সরাসরি ভোটকেন্দ্রেই প্রকাশ করা হয়।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় সভাপতিদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্ত করা হয়েছিল।

ভোটের দিনে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে শাটল ট্রেন ১১ বার করে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করে। পাশাপাশি ১৫টি বাসও চলাচল করে।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post