বিলিয়নেয়ার বা শতকোটি ডলারের মালিক হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। কেউ অল্প বয়সেই এ সাফল্য অর্জন করেন, আবার অনেকে সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেও দেনার বোঝা বয়ে বেড়ান। তবু বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট খাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে বিলিয়নেয়ার হওয়ার সম্ভাবনা এখনো খুবই উজ্জ্বল। নিচে এমন চারটি খাতের কথা তুলে ধরা হলো
১. ফাইন্যান্স ও বিনিয়োগ
ফোর্বসের তথ্যমতে, বিশ্বের প্রায় ৩০০ বিলিয়নেয়ারের সাফল্যের মূল উৎস ফাইন্যান্স ও বিনিয়োগ খাত। বিনিয়োগের জগতে কিংবদন্তি ওয়ারেন বাফেটই এর অন্যতম উদাহরণ। তার সম্পদের পরিমাণ ৭৮.১ বিলিয়ন ডলার। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে এখান থেকেই বিপুল অর্থ উপার্জন সম্ভব। তাই বিশ্লেষকদের মতে, বিলিয়নেয়ার হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত এটি।
আরও পড়ুনঃ এই নম্বর থেকে ফোন এলে ধরবেন না, ধরলেই সব হ্যাক!
২. ফ্যাশন ও খুচরা পণ্য
বিশ্বের ২৩৭ জন বিলিয়নেয়ার ফ্যাশন ও খুচরা পণ্যের ব্যবসা করে ভাগ্য বদলেছেন। বিশ্ববিখ্যাত বহু ব্র্যান্ড—যেমন জারা, এইচঅ্যান্ডএম, নাইকি, লুই ভুঁইতো—এসব খাত থেকেই উঠে এসেছে। নিজের সৃজনশীলতা ও বাজার বোঝার ক্ষমতা থাকলে এই ব্যবসায়ও দ্রুত ধনসম্পদের শিখরে পৌঁছানো সম্ভব।
৩. গৃহায়ন (রিয়েল এস্টেট)
রিয়েল এস্টেট খাত সব সময়ই লাভজনক। তবে এ ব্যবসায় সাফল্য পেতে প্রাথমিকভাবে কিছু মূলধন প্রয়োজন। পারিবারিক ঐতিহ্য বা জমির মালিকানা থাকলে তা বাড়তি সুবিধা দেয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর একটি দৃষ্টান্ত—তার মোট সম্পদ প্রায় ৩.১ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে চীন ও হংকংয়ের শতাধিক ব্যবসায়ীও এই খাত থেকে বিলিয়নেয়ার হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ যে কারণে শহিদুল আলমকে তুরস্কে নেওয়া হবে
৪. তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি)
তথ্যপ্রযুক্তি এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল খাতগুলোর একটি। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ৩০ বছরের আগেই এই খাত থেকে বিলিয়নেয়ার হয়েছেন। একইভাবে মাইক্রোসফটের বিল গেটস দীর্ঘদিন বিশ্বের ধনীদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন। ফোর্বসের হিসাবে, ২০১৭ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ছিল ১৮৩, যা আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি।
Post a Comment