৩ দিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা

 

বাগেরহাটে ৪টি আসন বহাল রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক হরতাল শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, বেঞ্চ বসিয়ে এবং গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

কমিটির দাবি অনুযায়ী, জেলার ৯টি উপজেলার অন্তত দুই শতাধিক স্থানে নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা অবস্থান নেয়। এর ফলে বাগেরহাট কার্যত দেশের অন্যান্য জেলা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং বিশেষ করে আন্তঃজেলা সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। হরতালের সমর্থনে জেলার অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ ছিল। এতে বাজার ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

আরও পড়ুনঃ  শক্ত অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত, এবার যে ঘোষণা সেনাপ্রধানের!
এদিকে, অবরোধ চলাকালে সকাল থেকেই বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দড়াটানা সেতুর দুই প্রান্ত, ফতেপুর বাজার, সিএন্ডবি বাজার, সাইনবোর্ড ও কাটাখালিসহ বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ী জুম্মান শেখ জানান, দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে, আবার মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। এতে প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ব্রেকিং নিউজ: মুনিয়া হত্যারহস্য ফাঁস!
অপরদিকে, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি বৃহস্পতিবার ফকিরহাটের কাটাখালী মোড়ে জরুরি সভা করে। সভা শেষে নতুন ঘোষণা করে। সে অনুয়ায়ী, আগামী রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলার সকল সরকারি অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী সোম, মঙ্গল ও বুধবার (১৫, ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর এম.এ সালাম বলেন, এ আন্দোলন কোনো দলের নয়, এটি জনস্বার্থের আন্দোলন। আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত রাজপথে থাকব।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post