এইমাত্র পাওয়া হট িউজ!

 


 বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন এবং এ কারণে তাকে প্রায়শই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তার অসুস্থতার মধ্যে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ (যার জন্য পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছে), কিডনি, ফুসফুস, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিস অন্যতম।
হাসপাতালে ভর্তির কারণ ও চিকিৎসা:
 * নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: প্রায়শই তাকে রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
 * শারীরিক অবস্থার অবনতি: হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 * লিভার সিরোসিস ও রক্তক্ষরণ: লিভার সিরোসিসের কারণে তার রক্তক্ষরণের গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়, যা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এক্ষেত্রে ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি করে ক্ষুদ্রান্ত্রের নিচের একটি ক্ষত শনাক্ত করে ব্যান্ড লাইগেশন করা হয়েছে, যার ফলে রক্তক্ষরণ আপাতত বন্ধ হয়েছে।
 * হৃদরোগ: তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক থাকায় স্থায়ী পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছে। এর আগেও তার হৃদরোগের সমস্যা ছিল এবং রিং পরানো হয়েছিল।
 * অন্যান্য জটিলতা: শ্বাসকষ্ট, কাশি, পায়ে ব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, ঘুমের সমস্যা, খাবারের রুচি কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণেও তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি:
 * লন্ডনে চিকিৎসা: ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করেন। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলে। বিশেষ করে লিভার রোগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি তার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
 * দেশে ফেরা: গত ৬ মে, ২০২৫ তারিখে তিনি লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন।
 

 * বাসায় চিকিৎসা: দেশে ফেরার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা'-তে অবস্থান করছেন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছে। বিদেশি চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক ক্যানিডি এবং জেনিফার ক্রসের পরামর্শে তার চিকিৎসায় কিছুটা পরিবর্তনও আনা হয়েছে।
 * স্থিতিশীল অবস্থা: বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক এবং তাকে সার্বক্ষণিক মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। দেশবাসী তার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন।
আপনার যদি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা সংক্রান্ত আরও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য জানার থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post