মিডফোর্ডে হ’ত্যার শিকার সেই সোহাগকে নিয়ে এবার নতুন তথ্য দিল পুলিশ

 


পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম। বুধবার (১৬ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। মো. নজরুল ইসলাম জানান, সোহাগ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি পরিবেশ-পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর ওই ব্যবসায় নতুন অংশীদারত্ব নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধ থেকেই সোহাগ খুন হন।এদিকে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পটুয়াখালী থেকে রেজওয়ান নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে হত্যায় মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সোহাগ হত্যায় কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোহাগকে হত্যার পর অভিযুক্তরা মব তৈরির চেষ্টা করে। পুলিশ বুঝতে পেরে সেই মব থেকেই মহিন ও রবিন নামের দুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই।উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে আঘাত করে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post